ওয়েবসাইট বিভ্রাটের জন্য চরম ভোগান্তি পঞ্চানন বর্মা উনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীদের। অনলাইন পরীক্ষা থাকলেও ওয়েবসাইট ডাউন থাকলো পরীক্ষার সময়।


🔴 ওয়েবডেস্ক নিউজ ১৭: পরীক্ষার প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হলো। পঞ্চানন বর্মা ইউনিভার্সিটির আন্ডারে থাকা কলেজগুলোর আজ তৃতীয় বর্ষের সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল ।আজ থেকে শুরু হয়েছিল সেকেন্ড, ফোর্থ এবং সিক্স সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা ।সকাল পৌনে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের লিংক দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা পনে নয়টার আগে থেকেই ওয়েবসাইটের সামনে বসেছিল কিন্তু ওয়েবসাইটের সমস্যার কারণে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে পারলো না এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী ।বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন এ বলা ছিল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার 15 মিনিট আগে ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দেবেন এবং পরীক্ষা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে কিন্তু দেখা গেল প্রথম দিনেই টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোড এবং উত্তরপত্র আপলোড কিছুই করতে পারল না ।
এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ।কলেজগুলোও সমস্যায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা হেল্প নাম্বার গুলো তে ছাত্র-ছাত্রীরা ফোন করলেও কেউ ফোন তুলছিল না ,ছাত্র-ছাত্রীরা দিশাহারা হয়ে যায়। তারা বাধ্য হয়ে উত্তরপত্রগুলো নিজ নিজ কলেজে গিয়ে জমা দিয়ে আসেন এতে কলেজগুলো পড়েছে সমস্যা।
লকডাউনের কথা মাথায় রেখে ইউজিসি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছে সেইমতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় এখনো পর্যন্ত সেভাবে ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন ইন্টারনেট প্রোভাইডার যারা রয়েছেন তারা সেভাবে স্পিডো দিতে পারছে না এমত অবস্থায় ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করা এবং পরীক্ষা শেষে 30 মিনিট সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র আপলোড করা খুবই কঠিন কাজ। ছাত্র-ছাত্রীরা বেশিরভাগই প্রশ্নপত্র ডাউনলোড এবং উত্তরপত্র আপলোডের জন্য বিভিন্ন সাইবারক্যাফের সামনে ভিড় জমান কিন্তু সাইবার ক্যাফেতে 30 মিনিট সময়ের মধ্যে এত ছাত্র-ছাত্রীর উত্তরপত্র আপলোড করা সম্ভব নয়। ছাত্র ছাত্রী যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের মোবাইল থাকলেও তারা কিন্তু এখনও সেভাবে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার মতো প্রযুক্তি ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত নয় । অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হঠাৎ করে একটি প্রযুক্তির মধ্যে ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। কলেজগুলোতে তাদের সেভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি কিভাবে ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যায়।অভিভাবকরা আরও বলেন এই করোনা পরিস্থিতিতে হয়তো আগামী দিনেও অনলাইনের উপরে ভরসা করে পঠন-পাঠন চলবে তাই ছাত্র-ছাত্রীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন